পাকিস্তানে তৈরি ‘রুহ আফজা’ ভারতে বিক্রি করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনকে সতর্ক করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ‘হামদর্দ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন’ এবং ‘হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ ইন্ডিয়া দিল্লি হাইকোর্টে একটি পিটিশন জমা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন সংস্থা বেআইনিভাবে অ্যামাজনে রুহ আফজা বিক্রি করছে। দিল্লি হাইকোর্ট এই পিটিশনের জবাবে অ্যামাজনকে সতর্ক করেছে।
এই পানীয়টির ভারতীয় নির্মাতা ‘হামদর্দ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন’ আদালতকে জানিয়েছে, ভারতের ই-কমার্স সাইটে তালিকাভুক্ত কিছু ‘রুহ আফজা’ হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের (ভারত) তৈরি নয়, বরং পাকিস্তানি সংস্থাগুলোর তৈরি করা। যার বিবরণ প্যাকেজিংয়ে উল্লেখ করা থাকে না। এমন অভিযোগ আসার পরই আদালত এই নির্দেশিকা জারি করেছে।
দিল্লি হাইকোর্টের বক্তব্য, রুহ আফজা হল এমন একটি পণ্য, যা ভারতীয় জনসাধারণ এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করে আসছে। এর খাদ্যমান নিয়ে কোনো রকম হেরফের মানা হবে না।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩১ অক্টোবর। দিল্লি হাইকোর্ট আগামী এক মাসের মধ্যে অ্যামাজনকে তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
- ১৯০৭ সালে হাকিম হাফিজ আব্দুল মজিদ প্রথম পুরানো দিল্লিতে বিক্রি করেছিলেন ‘রুহ আফজা’। ১৯৪৭ সালের পর হাকিমের এক ছেলে দিল্লিতে থেকে যান এবং অন্যজন পাকিস্তানে চলে যান। দুই দেশে তৈরি হয় ‘হামদর্দ ইন্ডিয়া’ এবং ‘হামদর্দ পাকিস্তান’ নামে দু’টি সংস্থা। দুই সংস্থাই ‘রুহ আফজা’ বিক্রি করে।
বিভিন্ন ধরনের ভেষজ ও ফলের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি করা হয় ‘রুহ আফজা’। উত্তর ভারতে সারা বছর, বিশেষ করে গরমের মৌসুমে এই পানীয়টি খাওয়ার চল রয়েছে। তবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সাধারণত রমজানে ইফতারের সময় এই পানীয় বেশি খাওয়া হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।